Thursday, 14 August 2014

Shaheed Abdul Malek: In Pictures

Picture: The auditorium where Shaheed Abdul Malek expressed his views on Islamic system of Education (13th August, 1969)


Picture: Shaheed Abdul Malek being attacked at Sohrawardi Uddyan on 12th august, 1969 by secular and communist students after his speech at Dhaka University campus

Picture: Shaheed Abdul Malek being attacked by secular and communist student cadres at Sohrawardy Uddyan, 12 August, 1969 (Pakistan Observer, 13th August, 1969)

Picture: Shaheed Abdul Malek passed away due to critical injuries on 15th August, 1969

 Picture: The funeral procession carrying the body of Shaheed Abdul Malek (Dainik Azad, 16th August, 1969)

Picture: First Namaaz-e-Janaaza of Shaheed Abdul Malek at Dhaka University Campus on 15 August, 1969 (Dainik Ittefaq, 17 August, 1969)

Picture: Spot where Shaheed abdul Malek was critically attacked at Sohrawardy Uddyanon August 15, 1969

 Picture: Newspaper cutting showing Sheikh Mujibur Rahman expressing condolences at death of Shaheed Abdul Malek (Dainik Sangbad, 17th August, 1969)

Picture: Register book copy of Biochemistry Department Dhaka University session 1965-1966. Mohammad Abdul Malek is right on top of the list.

Shaheed Abdul Malek Biography: Wikipedia

Abdul Malek (Bengaliআব্দুল মালেক) (c. May 1947 – 15 August 1969), commonly known as Shaheed Abdul Malek, was a prominent student leader of the 1960s. A student of Dhaka University, Abdul Malek was well known for his stand against the secular education system and prominently spoke in favor of an Islamic system of education in erstwhile Pakistan. He was critically injured when student members of a rival student organisation attacked him in aftermath of a seminar in Dhaka University on 12 August 1969 and succumbed to his injuries on 15 August 1969. In Bangladesh and surrounding countries in the region, 15 August is celebrated by his followers every year as 'Islamic Education Day'.[1]

Abdul Malek

Early life[edit]

Abdul Malek was born at Khokshabari (locally known as Boga), Dhunot, Bogra in May 1947 to Late Moulvi Munshi Mohammad Ali and Late Mosammat Sabirummon Nesa. He was born into an impoverished family of six siblings. He was the youngest among brothers, while his sister Ayesha Khatun was youngest among siblings. His brothers are Late Qari Mohammad Abdur Rashid, Munshi Mohammad Abdul Kader, Dr. Mohammad Abdul Khaleq, Master Abdul Bari Munshi.

Education[edit]

From first to second grade, he studied at the village school (Khokshabari school). He then studied at Gosaibari High School up to class 8, which was situated 4 miles away from his house in the village. Later, he completed SSC from Bogra Zila High School and completed HSC from Rajshahi College. He then enrolled into Dhaka University.
He was recipient of the Junior scholarship grant in 1960 and stood 11th in Rajshahi Board in SSC examinations with letter marks in Math and Chemistry in 1963 (his father Moulvi Mohammad Ali passed away at this point). In 1965, Abdul Malek passed HSC from Rajshahi Government College with letter marks in two subjects and stood 4th in the Board.
In 1966, he gained admittance as a student of Biochemistry in Dhaka University and resided at Room number 112 of Fazlul Haque Hall.

Political career[edit]

Abdul Malek was active in politics since student life. He was supporter of the Jukto Front at school life and subsequently the Muslim League. He was actively involved in student politics throughout his college life.
After his entry into Dhaka University, he joined Islami Chatra Sangha (ICS), erstwhile prominent Islamic student organisation. He joined the organisation as a worker (Kormi) in 1966. In 1967, he became the General Secretary of the Dhaka City Wing of the ICS. In July 1967, he was elected as the President of Dhaka City unit of ICS. During the 1967-68 session, he was elected as an Executive member of central committee of Nikhil Pakistan Islami Chatra Sangha.

Death[edit]

In 12 August 1969, a discussion seminar was held on 'Education system of Pakistan suggested by Mr. Noor Khan' in Dhaka University T.S.C auditorium. Abdul Malek, along with other students participated in the program and disagreed with some of the speakers on the issue of the NIPA education policy.
He opined, 'Pakistan must aim at ideological unity, not at ideological vacuum, it must impart a unique and integrated system of education which can impart a common set of cultural values based on the precepts of Islam'. Suggesting integration of the whole education system in the light of Islam, he urged, 'Our age must achieve spiritual renewal. A new renaissance must come- The renaissance in which mankind discovered that ethical action is the supreme truth and the supreme utilitarianism by which mankind will be liberated.'[2]
His speech angered members of rival student leaders and organisations, particularly some left and progressive student leaders and their followers. Abdul Malek, along with his followers was attacked on his way from the seminar and suffered critical injuries in the resultant clashes on 12 August 1969. He was admitted to Dhaka Medical College Hospital in critical condition where he succumbed to his injuries on 15 August 1969.[3][4]

References[edit]

  1. Jump up^ Preronar Batighor: Memoirs of Shaheed Abdul Malek. Bangladesh Islami Chatra Shibir, Dhaka University. December 2002. Retrieved 7 August 2014.
  2. Jump up^ "Abdul Malek: A Luminous star"shibirdu.org. Retrieved 7 August 2014.
  3. Jump up^ "একটি কলঙ্কজনক ঘটনা". Dainik Azad. 18 August 1969.
  4. Jump up^ "শুভ বুদ্ধির জয় হোক". Dainik Ittefaq. 17 August 1969.
  5. Abdul Malek (Islamic Education activist) https://en.wikipedia.org/wiki/Abdul_Malek_(Islamic_Education_Activist) Retrieved 15 August 2014

শহীদ আব্দুল মালেক, একটি নাম, একটি ইতিহাস



(পর্ব-১)

"যখন তুমি এসেছিলে ভবে
কেঁদেছিলে তুমি
হেসেছিলো সবে।
এমন জীবন তুমি করিও গঠন
মরণে হাসিবে তুমি
কাদিবে ভুবন।”
-কাজী নজরুল ইসলাম

১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল। মাত্র ২২ বছর। এই ছোট্র জীবনে শহীদ আব্দুল মালেকের একেকটি কর্ম যেন একেকটি ইতিহাস হয়ে আছে। তার কর্মময় জীবন ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীর জন্যই অনুপ্রেরণা। তিনি জীবনে যেমন একটি সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করেছিলেন ,তেমনি ইসলমী আন্দোলনের প্রয়োজনে সে ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস করে প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাছে সকল বাধা তুচ্ছ,সকল পিছুটান নিঃস্ব। যা হোক আব্বু তার কাছাকাছি বড় ভাই হওয়ার কারণে তার নিকট হতে অনেক স্মৃতিকথা শুনেছি। সমসাময়িক ইসলামী আন্দোলনের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলদের অনেক স্মৃতিচারণ পড়েছি। ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হওয়ার কারণে ক্ষণে ক্ষণে তার মত পাঞ্জেরির প্রয়োজনও অনুূভব করেছি। সব কিছু মিলিয়ে তার কর্মময় জীবনের প্রেরণাময় কিছু অংশ তুলে ধরার জন্যই আমার এ ছোট্র প্রয়াস। আগস্ট মাস জুড়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।



(পর্ব-২)

“অদম্য মেধাবী আব্দুল মালেক”
বাড়ির পাশেই খোকশাবাড়ী স্কুল।পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী সে স্কুলেই ভর্তী করার সিদ্ধান্ত হল। কিন্তু শিশু আব্দুল মালেক স্কুলে যেতে নারাজ। বড় ভাই আব্দুল খালেক এ ব্যপারে ভর্ৎসনা করায় সে বাড়ি থেকে চলেও গিয়েছিল। পরে বাবা মোহাম্মদ আলী মুন্সী তাকে স্কুলে ভর্তী করানোর ব্যবস্থা করেন। সেই যে স্কুলে যাওয়া, তারপর কোন পিছুটান তাকে দমাতে পারেনি। আব্দুল জলিল সাহেব ছিলেন খোকশাবাড়ী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি শিশু আব্দুল মালেককে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন। সবকটি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে তিনি এতই অভিভূত হলেন যে আব্দুল মালেককে তিনি সরাসরি ২য় শ্রেনীতে ভর্তী করে নিলেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে গোসাইবাড়ী হাই স্কুল। এলাকার মধ্যে এ স্কুলটির বেশ সুনাম ছিল। শিশু আব্দুল মালেক সে স্কুলে পড়ার আগ্রহ পোষণ করায় তাকে সে স্কুলে ভর্তী করা হল। যে কোন কারণেই হোক প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি আব্দুল মালেক। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষায় তার রেজাল্ট দেখে শিক্ষকরা আফসোস করলেন এবং জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ হতে যেন আব্দুল মালেক বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখলেন। যথারীতি আব্দুল মালেক জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন। আব্দুল মালেক চাচ্ছিলেন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিতে। কিন্তু গোসাইবাড়ী হাই স্কুলে তখনও বিজ্ঞান বিভাগ ছিল ন। আব্দুল মালেক চাচ্ছিলেন বগুড়া জিলা স্কুলে নবম শ্রেনীতে ভর্তী হতে। ভর্তী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে চাচ্ছিলেন না প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান সাহেব। সে দিন আব্দুল মালেকের অদম্য মেধায় অভিভূত হয়ে তিনি বলেছিলেন, দরকার হলে আব্দুল মালেকের জন্য হলেও আমরা আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করব,তবুও তাকে অন্য কোথাও যেতে দিব না। বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান স্যারের সাথে দেখা করে ভর্তীর কথা জানালে, ভর্তীর জন্য ফরম জমার সময় শেষ হওয়ায় তিনি অপারগতা প্রকাশ করলেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দিন স্যারের অনুরোধে তাকে ফরম জমা দিযে ভর্তী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হল। ভর্তী পরীক্ষায় তিনি ১ম স্থান অধিকার করলেন। স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করে এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাবা মারা গেলেন। পরীক্ষার কারণে তাকে জানতে দেওয়া হল না। মারা যাওয়ার ২ দিন পর বড় ভাই মাস্টার আব্দুল বারী দেখা করতে গেলেন আব্দুল মালেকের সাথে। পরীক্ষার খোঁজ খবর নেওয়ার পর আব্দুল মালেকও বাড়ির খোঁজ জানতে চাইলেন। বড় ভাই কৌশলে জানালেন যেে উপস্থিত সবাই ভাল আছেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাইরে বেশী ঘুরাফিরা না করে মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা শেষ করেই বাড়ি আসার জন্য পরামর্শ দিলেন। কারও মাধ্যমে বাবার মৃত্যর খবর জেনে পরীক্ষা যেন খারাপ না হয় সে জন্যেই এমন পরামর্শ দিলেন। পরে পরীক্ষা শেষে বাড়ির নিকটবর্তী হতেই প্রতিবেশীর কাছে বাবার মৃত্যর খবর পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। এস এস সি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে মেধা তালিকায় ত্রয়োদশ স্থান অধিকার করে ভর্তী হলেন, স্বনামধন্য রাজশাহী কলেজে। রাজশাহী কলেজ থেকে মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তী হওয়ার আগ্রহ জানালেন। বড় ভাই আব্দুল বারী আব্দুল মালেককে সাথে নিয়ে ঢাকা পৌছলেন বিকাল প্রায় ৩ টার সময়। কিন্তু ২ টার সময় ভর্তী ফরম জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ায় অফিসের কর্মকর্তারা তাদের কিছুই করার নেই বলে জানিয়ে দিলেন। আব্দুর বারী সাহেব চলে আসার পূর্বে তাদেরকে আব্দুল মালেকের একাডেমিক কাগজ পত্রগুলো দেখার অনুরোধ করলেন। অফিসের কর্মকর্তারা কাগজপত্র দেখে বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগের প্রধান ড.কামাল হোসেনকে বিষয়টি জানালেন। কামাল হোসেন নিজেই আসলেন কাগজপত্র দেখলেন এবং এমন মেধাবী ছাত্রকে ফিরিয়ে না দিয়ে ফরম পূরণ করে জমা দিতে বল্লেন। এবারও ভর্তী পরীক্ষায় প্রথম হলেন আব্দুল মালেক। প্রথমে জিন্নাহ হলে সিটের আবেদন করে না পাওয়ায় ড.কামাল হোসেন স্যার পরে ফজলুল হক হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে ফজলুল হক হলে ১১২ নং কক্ষেই কাটিয়েছেন তিনি। অবশেষে আরেকটি কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বেই ইবলিসের ষড়যন্ত্রে অকালেই নিভে গেল এ অদম্য মেধাবীর প্রাণ। কবি 

ফররুখ আহমদের ভাষায়-
“ইবলিসের ষড়যন্ত্রে
নিভে গেল অকালে যে প্রাণ
জান্নাতের ফুল হয়ে
ফুটেছে সে এখন অম্লান।”



(পর্ব-৩)

“ইকামাতে দ্বীনের কাজকে অগ্রাধিকার”
“পৃথিবীর হাজারও কাজের ভীড়ে 
ইকামাতে দ্বীনের এ কাজ যেন,
সবচেয়ে প্রিয় হয়।
আর কোন বাসনা নেইতো আমার
কবুল করো তুমি
হে দয়াময়।”

হ্যা, সত্যিই পৃথিবীর সকল কাজের মধ্যে ইকামাতে দ্বীনের কাজকেই সবচেয়ে বেশী প্রিয় করে নিয়েছিলেন শহীদ আব্দুল মালেক। দ্বীনকে তিনি অন্যতম নয় বরং একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন। আর এ উদ্দেশ্য পূরণে বাধা হিসেবে যা কিছু সামনে এসেছে তা মাড়িয়ে এগিয়ে গেছেন। স্কুল জীবনে তিনি লজিং থাকতেন মৌলভী মহিউদ্দিন সাহেবের বাসায়। মহিউদ্দিন সাহেব গাইবান্ধায় এক সেমিনারে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুর রহিম আলোচিত “জীবনের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত”বিষয়টি সকলকে বুঝানোর সময় অনুসন্ধিৎসু শহীদ আব্দুল মালেক প্রশ্ন করেছিলেন ‘চাচা, এ পথের সন্ধান কিভাবে পাওয়া যায় ? হ্যাঁ এ পথের সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন বলেই বগুড়া জিলা স্কুলে ভর্তী হয়েই বাবার কাছে চিঠি লিখেছিলেন, “বাড়ির কথা ভাবিনা, আমার শুধু এক উদ্দেশ্য, খোদা যেন আমার উদ্দেশ্য সফল করেন।কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং কঠোর সংগ্রামে অবতীর্ণ,দোয়া করবেন খোদা যেন সহায় হন। আমি ধন-সম্পদ কিছুই চাই না,শুধু মাত্র যেন প্রকৃত মানুষরুপে জগতের বুকে বেঁচে থাকতে পারি।”কলেজের গন্ডি পেরিয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে প্রবেশ করলেন তখন তার এ সংকল্প আরও দৃঢ় হল। তাইতো ফজলুল হক হলের তার রুমের দরজার উপর লিখে রেখেছিলেন শহীদ সাইয়েদ কুতুবের সেই বিপ্লবী বাণী“আমরা ততদিন পর্যন্ত নিস্তব্ধ হবনা, নীরব হবনা, নিথর হব না, যতদিন না কোরআনকে এক অমর শাসনতন্ত্র হিসেবে দেখতে পাই। আমরা এ কাজে হয় সফলতা অর্জন করব নয় মৃত্যবরণ করব।” এ মহান মঞ্জিলে পৌছার জন্য মায়ের বন্ধনও ছিন্ন করার দৃপ্ত শপথ নিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন “মায়ের বন্ধন ছাড়া আমার আর কিছুই নেই। বৃহত্তর কল্যাণের পথে সে বন্ধনকে ছিঁড়তে হবে। কঠিন শপথ নিয়ে আমার পথে আমি চলতে চাই। আশীর্বাদ করবেন।সত্য প্রষ্ঠিার এ সংগ্রামে যেন আমার জীবনকে আমি শহীদ করে দিতে পারি। আমার মা এবং ভাইরা আশা করে আছেন আমি একটা বড় কিছু হতে যাচ্ছি। কিন্তু মিথ্যা সে সব আশা। আমি বড় হতে চাইনে, আমি ছোট থেকেই স্বার্থকতা পেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র হয়ে বিলেত থেকে ফিরে যদি বাতিল পন্থীদের পিছনে ছুটতে হয় তবে কি লাভ ?
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলোর চেয়ে ইসলামী ছাত্র সংঘের অফিস আমার জীবনে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। জানি আমার কোন দুঃসংবাদ শুনলে মা কাঁদবেন, কিন্তু উপায় কি বলুন ? বিশ্বের সমস্ত শক্তি আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধানকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। আমরা মুসলমান যুবকরা বেঁচে থাকতে তা হতে পারে না। হয় বাতিলের উৎখাত করে সত্যের প্রতিষ্ঠা করব নচেৎ সে চেষ্টায় আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে। আপনারা আমায় প্রান ভরে আশির্বাদ করুন জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও যেন বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারি। কারাগারের নিরন্ধ্র অন্ধকার,সরকারী যাঁতাকলের নিষ্পেষণ আর ফাঁসীর মঞ্চও যেন আমায় ভড়কে দিতে না পারে।”

লেখকঃ (শহীদ আব্দুল মালেকের ভাতিজা)
ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম
সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
রাজশাহী মহানগরী

শহীদ আব্দুল মালেকের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শোক প্রকাশ!!!



"আবদুল মালেকের মৃত্যুতে পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান শোক প্রকাশ করিয়াছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল মালেকের মূল্যবান জীবনাবসানে আমি খুবই মর্মাহত হইয়াছি।

আমি মরহুমের আত্মীয়-স্বজনকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা পাইতেছিনা। তাহার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং তাহার বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করিতেছি।

যে ঘটনার মধ্য দিয়া এই মর্মান্তিক মৃত্যু সংঘটিত হইল উহার প্রতি এবং ভবিষতে যাহাতে এই ধরনের দুস্কার্যের পুনরাবৃত্তি না ঘটে তৎপ্রতি গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য রাখার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আবেদন জানাইতেছি।"

সুত্রঃ দৈনিক সংবাদ
১৭ আগষ্ট ১৯৬৯

১৫ আগষ্ট ঐতিহাসিক একটি দিন। আবদুল মালেকের শাহাদাত দিবস


১৫ আগষ্ট ঐতিহাসিক একটি দিন। আবদুল মালেকের শাহাদাত দিবস। তৎকালীন আদর্শিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিস্ঠার এক সংগ্রামী দিন। জনাব আবদুল মালেকের শাহাদাতের ঘটনাটি ছিল বাম এবং ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীর নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্রের ফসল। তৎকালীন আদর্শিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একজন জীবন উৎসর্গ কারীর নাম।


১৯৬৯ সালে আব্দুল মালেক সহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী এয়ার মর্শাল নুর কানের সাথে সাক্ষাত করে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবি করেন। তারই ফলশ্রতিতে অল্প কিছুদিনের মধ্যে সরকার একটি শিক্ষানীতি ঘোষনা করে। এতে কিছু ক্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও এতে ইসলামী আদর্শের প্রাধান্য পরিলতি হয়। কিন্তু এতে বাধসাদে সমাজতন্ত্রী ও ধর্মনিরপেতাবাদিরা।

সমাজতন্ত্রী ও ধর্মনিরপেতাবাদিরা শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি জানায়। এটি ছিল পাকিস্তান আমলের সর্বশেষ শিক্ষা কমিশন। এরই প্রোপটে শিক্ষা ব্যবস্থার আদর্শিক ভিত্তি কি হবে তা নিয়ে জনমতে জরিপের আয়োজন করা হয়। জনমত জরিপের অংশ হিসেবে ২রা আগষ্ট ১৯৬৯, ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন (নিপা) ভবনে (বর্তমান ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) এ শিক্ষানীতির উপর ১ টি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভায় বামপন্থীদের বিরোধীতামুলক বক্তব্যের মধ্যে শহীদ আব্দুল মালেক মাত্র ৫ মিনিট বক্তব্য রাখার সুযোগ পান । অসাধারন মেধাবী বাগ্মী আব্দুল মালেকের সেই ৫ মিনিটের যৌক্তিক বক্তব্যে সভার মোটিভ পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যায় । তিনি স্পষ্ট করে সেদিন বলেছিলেন, , “Pakistan must aim at ideological unity, not at ideological vacuum- it must impart a unique and integrated system of education which can impart a common set of cultural values based on the precepts of Islam.”



We need Common set of cultural values, not one set of cultural values- তার বক্তব্যের এ ধারণাটিকে তিনি যুক্তি সহকারে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। উপস্থিত শ্রোতা, সুধীমন্ডলী এবং নীতি নির্ধারকরা আব্দুল মালেকের বক্তব্যের সাথে ঐক্যমত্য পোষণ করে ইসলামী শিক্ষার পক্ষে মত দেন। আব্দুল মালেকের ত্বত্ত্ব ও যুক্তিপূর্ণ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ক্ষিপ্ত করে দেয় ইতোপূর্বে বক্তব্য রাখা বাম, ধর্মনিরপেক্ষ ইসলাম বিরোধী বক্তাদের। সকল বক্তার বক্তব্যের মাঝ থেকে নীতি নির্ধারক এবং উপস্থিত শ্রোতা-সুধীমন্ডলী যখন আবদুল মালেকের বক্তব্যকে পুর্ণ সাপোর্ট দেয় তখন আদর্শের লড়াইয়ে পরাজিত বাম ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীর সকল রাগ এবং ক্ষোভ গিয়ে পড়ে আব্দুল মালেকের উপর।



সভার এক পর্যয়ে জৈনক ছাত্র নেতা ইসলামী শিক্ষার প্রতি কটা করে, শ্রোতারা এর তীব্র বিরোধীতা করে ইসলামী শিক্ষার পে স্লোগান দেয়। সন্ত্রাসীদের ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আব্দুল মালেক তার সাথীদের স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন। এসময় সকল সংগীকে নিরাপদে বিদায় দিয়ে শহীদ আব্দুল মালেক ২/৩ জন সাথীকে সাথে নিয়ে টিএসসির পাশ দিয়ে তার হলে ফিরছিলেন। হলে ফেরার পথে লোহার রড-হকিষ্টিক নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নরপিশাচ ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে তাকে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নিয়ে মাথার নিচে ইট দিয়ে, ইটের উপর মাথা রেখে উপরে ইট ও লোহার রড- হকিষ্টিক দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে রক্তাক্ত ও অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

আব্দুল মালেককে আহত এবং সংগাহীন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার তিনদিন পর ১৫ আগষ্ট শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পক্ষে যুক্তিপুর্ণ বক্তব্য দেয়া ইসলামের এই সুমহান বক্তা ।

A Tribute to Saheed Malek


Belal Rashid Chowdhury


The history of conflict between true and false rooted to dim and distant past on this planet with a sublime beauty created by the almighty Allah.The believers had always been trying to raise the truth to the pinnacle. On the contrary the disbelievers kept on their efforts to annihilate and extinguish the sparkle of all pervading gleam of truth.But the history witnesses that, they never succeed. Truth could not be extinguished rather it diffuses deformities all directions and reaches to a boundless extent.The conflict between light & darkness never come to an end. Rather the Jihad of Ibrahim (A.S) against Namrud, Musa (A.S) against Farao, Mohammad (SM) against Abu Zahel is continuing in the same pace till today.The instances of martyrdom of saheed Hasan al Banna, Abdul Qader Awdah, Saheed Kutubb are the testimony of this truth.

And also that of Saheed Abdul Malek, Sabbir, Hamid, Safiq, Anwer, Alfaz, Salauddin, Sahangir and more than one hundred martyres further consolidates this truth.

Saheed Malek sacrificed his life for the establishment of the system of Islamic Education.

He succumbed to his severe injuries on 15 August at DMCH which was caused by a barbarous attack made on Him on 12 August at the Racecourse Maidan in 1969 The enemies of Allah could not endure the slogn of Islamic Revolution and they killed Abdul malek the then president of Dhaka City unit, one of the leading champions of Islamic Educaton Movement in a very brutal and hineous manner. They wanted to exterminate the Islamic movement by killing abdul Malek, but his fellow brothers foiled that hatred conspiracy. The blood stream of the marttyers for the sake of the Islamic social system has accelerated its speed.

Saheed Malek is not only a name but also an Era. He is the most pronounced name and a symbol of inspiration among the people who love Islam. Though no monument had been built on his memory, yet he is ever alive in the hearts of thousands of believers. Allah, the almighty preserves the memory of martyrs for ever in this way. All the conspiracies have to face the same fate like this one. Because, the relation between the history of the establishment of Islamic movement and martyrs is inextricable. The hypocrites can do a little in this respect.

The more the Islamic Movement soaring high and high the more the curiosity of knowing Saheed Malek increasing among the Mujahids of the camp of believers. A strong affinity of fellow feelings and inspirations are making ground evolving him. This feelings of affinity is prevalent not only in our country but also through out the world wherever the movement is on function. Through th passage of time the name of Saheed Malek is being spoken off it the same importance along with the names of Saheed Hasan-al-Banna and Saheed Kutub. It is an usual demand of I'maan to the believers to remain curious about the martyrs who showed us the pavement of this movement. This tendency cannot be stifled to do so is nothing but a suicidal effort.

Saheed Malek was used to lead a very simple and plain life. He was never pretentions. He was a man of great humility. Whoever came to his association, got benefited in either of the ways. There are alive persons till today who were closely acquainted with Saheed malek and through discussions with them many things can be known about him which can act as a huge source of inspiration for us. This is why it is very much wise and beneficial to maintain a communication with the honorable contemporaries of Shaheed Malek.

Shaheed Malek was an embodiment of many qualities. He was an endowed with many divine gifts. Whoever commemorates him, gives emphasis on this aspect of his life. Precisely for his character he had assumed a great threat to the enemies of Allah.

He was man of profound insight and could easily read the thoughts of the enemies which enabled him to tackle all the problems in a smooth way. Shakeed Malek sacrificed his life not out of any craving for name or fame but to give the Islamic movement a go ahead' impetus. He inspired us to follow him to the noble act of martyrdom. 

The study of his life reveals the following salient features of his character that is worthy of imitation.

He was very assiduous and introspective.
Modes, polite, sympathetic and sweet-tongued.
Very much generous and perspicacious in the acceptance of truth.
Very much wise in discriminating true and false.
He was never insincere to his words and work. There was no contradiction between his promises and work.
Tireless in the acquisition of knowledge.
He was ever steady and constant in his determination to establish the truth of Allah on his earth.
A glaring example of love and sacrifice.

Out of many qualities only a few we have been mentioned here. The more we shall analyze his life the more we will be benefited. This tendency of knowing the great souls will be an ever growing one. The martyrdom of Saheed Malek is no isolated phenomenon. Rather it is a name which has been added with a long and glorious process of enumeration. The effort of analysis and knowing of Saheed Malek and the other martyrs will be meaningful only when we shall be able to establish a formidable and unconquerable stronghold on the way to establishment of the rules of Allah in the world.